Powered By Blogger

Monday, 16 December 2019

প্রেম যেন থার্মোডাইনামিক্স

প্রেম যেন থার্মোডাইনামিক্স
এখনও সব ক্ষতওয়ালা চোখে,
বিষাদ আর প্রেম একসাথে ফোটে ।

মুখ নামিয়ে, গাল ভিজিয়ে,
গল্প যত এভাবেই ফুরিয়ে যায় ।

কত কথা থেকে যায় বাকি,
না বলা ঋণ শব্দ চিরকুটে ।

তবু জানি জাহাজ আসবে আদর নিয়ে,
রাত জেগে তাই বসে আছে বন্দর ।

প্রশ্রয় আছে তার মনের উঠোনে,
ক্লোরোফিল মেলাচ্ছে সমীকরণ ।

অযথা এই ভিড়, বিরতিতে মেশে ভয় ।
কোমর থেকে ঢেউ ওঠে আঘাতের মতো ।

আর অনেক দূরে যাদের বাড়ি,
দেখতে পায় কম বুঝে ফেলে বেশি...
তারাই রটায় শহরতলিতে,
প্রেম নাকি বোকা বাক্সেই বন্দি...

Tuesday, 3 September 2019

ঠান্ডা লড়াই

ঠান্ডা লড়াই
পাল্টেছ অনেকটাই তাদের সাথে মিশে,
আমি তোমার টাইপের শব্দ শুনি ।
যেখানে দেওয়াল বয়ে আনে অজানা পথ,
তুমি বরাবরই অযথা কাল্পনিক ।

দুমড়ে গেছে বৃষ্টি, কামড়ে ধরেছে অজুহাত,
তুমি বলো তুমি মিথ্যের মতো স্বচ্ছ ।
আমরা জলের গায়ে ধৈর্য ছুড়ি, পাথরের মত,
উঠে আসে জ্বলন্ত ফুসফুস আর কাব্য ।

আমি লোভী, আকড়ে ধরি দুটোই,
দু হাতে যতটা সম্ভব তার থেকেও বেশি ।
তোমরা পরীক্ষা নাও আজীবন সচেতন হয়ে,
আমরা হেরে গেলেই তোমরা জয়ী ।

Saturday, 10 August 2019

পাথুরে যোগাযোগ

পাথুরে যোগাযোগ

এক জীবন্ত জলাশয়, দুঃখের ভাগ বাটোয়ারা ।
আমরা ছিলাম রাস্তার এপারে,
ধার করা কাব্যে, যা আজীবন অপ্রকাশিত ।
সে রাস্তার ওপর লড়ে যাচ্ছে ট্রাফিক,
আর মরে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্নের ফিতে ।
আমরা একগুঁয়ে, তারাদের পাশে নিজের এলাকা বানাই,
হার মানতে নারাজ আমাদের চটি ।
আমরা রাস্তা পেরোতে পারি না বা আরও সংক্ষেপে রাস্তার ওপার আমাদের জন্য নয় ।
দাঁড়াও, দাঁড়াও...

কি আশ্চর্য ! তোমরা কেউই নেই । সবাই পালালে দুমড়ে যাওয়ার ভয়ে ।

আমি একা পরে আছি এই মৃত্যুর অপব্যবহারে ।
তবু কিছুতেই পোষ মানতে পারছি এই নীরব মন ।
আমরা যারা একই সূর্যে হতাশা ছড়াতাম আজ সেই দলে আমি একা, সিগারেট হাতে ।
আর তোমরা দর্শক, দাঁত ক্যালানে দর্শক ।

Tuesday, 30 July 2019

আমরা তোমাতেই থাকি


আমরা তোমাতেই থাকি
বিপদ ঘরে গুনছি সময় ।
দেখছি তোমার সংসারি মন ।
যত্নে বোনা রোদের ভেতর,
তোমার সুখের দাম্পত্য জীবন ।

একক হয়ে তুলছ ছবি,
গৃহস্থ সব বাড়তি আবেগ ।
আমার পাড়ায় বৃষ্টি নামে,
নেই আকাশে এক ফোঁটা মেঘ ।

রাতের দিকে কবিতা পুষি,
নেশার চোটে প্রহর কাটাই ।
ঘুম আসে সেই ভোরের দিকে,
ঘুমের মধ্যেও হোঁচট খাই ।

Sunday, 21 July 2019

মুহূর্ত

মুহূর্ত

ভোর রাতে ঘুম ভাঙে
চোখ খুললে বুঝি অবাস্তব
বেঁচে থাকায় মেঘ করে
দাঁড়িয়ে হাসে দুঃখ সব

তবু লিখছি নিজের ভেতরে
একটা নাম নানান রঙে
এই ছিল আমার খাতায়
ধুলোবালির আর কান্নার সঙ্গে

দূর থেকে বুঝবে না কিছুই
সংজ্ঞায় নামছে ধস রোজ
আর একটা হারিয়ে যাওয়ার ছুতোয়
পালাতে পারলে আর পাবে না খোঁজ

Thursday, 27 June 2019

দায়বদ্ধতা

দায়বদ্ধতা
আমিও ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ি,
এই প্রখরতা থেকে আদর খুঁজতে খুঁজতে ।
এ এক অপরূপ মায়া,
রক্ত চোখ এত আঘাতেও পারে না বুজতে ।

যেন শিখে নিতে চায় এই যুদ্ধের প্রথা,
দু হাতে শুধু ধারালো শব্দের আক্রমণ ।
যার ভিত অতীব শক্ত,
ধরতে পারে না কোনো রকমের ভাঙন ।

বারবার হেরে গিয়ে জিততে শিখে যাওয়া,
লড়াইয়ের এ এক দুর্বিসহ অবস্থা ।
খোলা চোখেই দেখি, শুধু মানুষের মৃতদেহ,
হেটে যাই তাদের ওপরে, যেন এটাই দায়বদ্ধতা ।

Wednesday, 29 May 2019

বেকারত্ব বনাম ভালোবাসা


বেকারত্ব বনাম ভালোবাসা

আবারও নজর কারলো প্রতিষ্টিত
চকচকে গাল বুটের পালিশে ধার 
জোরালো শব্দে যার অনুমতি বসাও
সেও হয়তো চিরকালই বেকার 

স্পর্ধা তার জমছে ঠোঁটে চুমু
অনেক ছুটেও অনেক খানি দূরে 
মেয়েটারও আজ বাড়ছে বয়স ভীষণ
বাড়ির চাহিদা সরকারি চাকুরে 

ছেলেটার আজ ঠেকছে আকাশে মাথা
প্রেমের তাগিদ সারা শহরে ছোটায়
কোনো রকমে একটা কিছু পেলে
দু চোখে একটু ভারসাম্য যোগায়

কপাল মন্দ জুটলো না তার কিছুই
অপ্রকাশিত প্রেম এখন অন্যের ঘরে
ছেলেটার আজ শ্বেত পাথরের বুক
ফ্যানের থেকে তার শরীর ঝোলে

আরও একবার পরাজিত ভালোবাসা
সমীকরণ যত সংখ্যাই টিকিয়ে রাখে
আমরা এখনও প্রেমেই ঝোঁকাই মাথা
অবুঝ মন অবচেতনার বাঁকে

Wednesday, 22 May 2019

ভীতু শহরের মনখারাপ

ভীতু শহরের মনখারাপ
আমরা থাকব আসার সময়ে
দমকা হাওয়ায়
তোমরা থেকো মনখারাপের
ফেরত যাওয়ায়

পুষতে পারো অহংকারে
নিজের দু চোখ
সাহসী সব শেষের পাতায়
বিচ্ছেদ হোক

ভালো থাকার পদ্ধতিতে
মিশিও জল
নোনতা হলেই রাত ভেজানোর
প্রটোকল

তাও যেন আজকাল খুব
একলা লাগে
ঘুম পাড়ানি উপত্যকাও
রাত জাগে

হিসেব রাখার লোক থাকেনা
মনখারাপের
আমরা থাকব আসার সময়
আচমকা ঝড়ে

Thursday, 9 May 2019

লেখালিখির সাতকাহন


লেখালিখির সাতকাহন
কুর্নিশ তোমায়,
আমার জাতীয় শব্দের প্রতিফলন ।
যেন প্রতিটা সন্ধ্যা,
তুমি আমি ক্লান্ত হ্যালোজেন,
গুঁড়িয়ে যাই সতেজ হওয়ার নেশায় ।
আর বিপক্ষে অজস্র চিন্তিত তারিখ,
পথ আটকায় ।
মাঝে মধ্যেই ভাবি,
এই অবচেতনায় তোমায় লুকিয়ে রাখব ।
কাউকে জানতে দেব না তোমার গুরুত্ব ।
তুমিও পা রাখলে নাম না জানা তারার গায়ে,
এক অপরিচিত পর্যায়ে ।
তোমাকে ছাড়া কিছুতেই যেন এগোনো যায় না ।
অজস্রতার ভিড়ে তুমিও আমাকে বেছে নিলে ।
তোমাকে জানলায় পেলাম,
তোমাকে ফাঁকা বিকেলে পেলাম ।
এত শিকড় জড়ানো অধ্যায়ে,
তুমিই এক নবজাগরণ ।
তুমি, আমার চোরাস্রোতের ভাবনা,
বিকল হওয়া ফুসফুসের,
রোজকার অপ্রকাশিত লেখন ।

Friday, 26 April 2019

প্রেমের কিছু নিদির্ষ্ট খোপ

প্রেমের কিছু নিদির্ষ্ট খোপ

কিছু বিকেলের ধ্বংসস্তূপে আমাদের পুনরায় শ্বাসকষ্ট ।
আবদ্ধ শেওলা পাঁচিল আবেগ দিয়ে ঘেরা,
আর চারিদিক ছড়াচ্ছে ভালোবাসার বিজ্ঞাপন ।
কেউ আধখানা চোখ খুঁজছে যাকে,
সেও নিথর শরীর কাটিয়ে বেরোতে পাচ্ছে না,
বালির ঘড়ি ।
আর যারা সেই রোদ গায়ে মাখেনি, তাদের
আক্ষেপ আকাশ ছোঁয়া ।
আমার চোখ চলে যাচ্ছে এই সাজানো
ছবির গভীরে ।
যেখানে দেখছি,
প্রেমিকার নখে লেগে থাকে গত প্রেমিকের টাটকা রক্ত ।
বর্তমান সবসময় ভয়ে বন্দী ।
হয়ত তার রক্ত মুছবে অন্য কোন প্রেমিকের রুমাল ।
এর চেয়ে ঢের ভালো বাড়িতে বাগান তৈরি করা,
যেখানে আমাদের আগাগোড়া সাচ্ছন্দ ।

Thursday, 11 April 2019

অসময়ের বেঁচে থাকা


অসময়ের বেঁচে থাকা
তারপরই বৃষ্টি আসে,
ধুয়ে যায় সমস্ত কান্না ।
বিকৃত মুখ, এমনি তাকায়,
কে চেয়ে ছিল এই ছকে ফেলা যৌবন ?
সবই যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ।
আমরা অপ্রেমিক,
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই
এই বরফ আঙ্গুল বিকল হয়ে পরে ।
আবার একটা বিষন্ন লেখা, দেওয়ালে ফোটে ।
আর সেই হরফে অনেক আগে চিঠি লেখা হত ।
আমাদের রাস্তা পার হওয়া, চোখ দিয়ে,
মন যে কবেই ছেড়ে চলে গেছে ।
আর আক্ষেপ না করে ডুবে থাকি পরিসরে ।
বুঝি কি সুন্দর বেঁচে আছে এই গোটা বিশ্ব,
মন-মুখ-মগজ-বুদ্ধি ছাড়াই ।