Powered By Blogger

Wednesday, 11 November 2020

অলস ক্যাকোফোনি

অলস ক্যাকোফোনি

তোমায় লাগে দূরের মানুষ
কাছেই থাকো নদীর মতন
সবাই দেখায় নিয়ম করে
মন খারাপের বিজ্ঞাপন

যেমন ভাবে জড়িয়ে ছিলে,
কথায় কথায় অবাধ্যতায়...
তেমনই এখন শান্ত পাহাড়
কঠিন ভীষণ নিরবতায় ।

দাঁড়িয়ে থাকে একলা হতে
শব্দ ভেঙ্গে রাস্তা গড়ে
আবার জানি উত্তেজনায়
ডাকব তোমায় নেশার ঘোরে

শেষ যাত্রায় সতর্কতা ঢাকছে আকাশ সেপিয়া রঙে
আজকাল আর মন ভাঙে না, মন ভাঙতেও শক্তি লাগে

Sunday, 30 August 2020

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত




সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ১
তবুও ঘরে ফেরা, রাতের
হদিস পেতে ।
এই সিগারেট বিহীন রাতগুলো,
যার অভ্যেসে কেটে যায়,
সে বলে ছিল থেকে যাবে আজীবন ।
তাই সচেতন আমি বসে থাকি,
শোনা যায় ওঠা নামা পুরনো ভালোবাসার ।
যা কিছুই থেকে গেছে পুরোপুরি,
তাই আসলে বিষাদ ।
তাই শব্দে আর চোখ খোলে না,
বিচ্যুতি ও মাপতে পারিনা সহজে ।
বরঙ,
আমরা এক অন্যের মধ্যে অনর্গল
পাক খেয়ে যাচ্ছি ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ২
যার চোখে রোদ গলেছিল,
সে মাটি হয়ে গেছে রাতারাতি ।
তাই ধুলোর মধ্যে ঢুকতে ইচ্ছে করে,
আর ছায়ার মতো লেগে থাকতে মন চায় ।
সবাই সবার অক্ষমতা নিয়ে টানাটানি করছে ।
আমি পেরেক ঠুকি ক্ষমতায়,
আর ঘর বাঁধি মন খারাপের সাথে ।
এ এক ভালো লাগার সংসার,
দুজনই ঢেলে দিতে পারি পুরোটা ।
আমাদের রোদ ভেবে ভুল করে,
বৃষ্টির দিনগুলো ।
যখনই রাত আসে আমাদের শরীর খোঁজে পাহারা,
একটু নির্বাসন ।
তাই সিগারেট বিহীন রাত এলেই সংসার ভেঙে যায়,
আমরা একে অন্যের শিরা কেটে গড়িয়ে যাই নিচু স্রোতে ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৩
যতটা বদলানো যায় তার এক ধাপ পরে,
আমি মুখ থুবড়ে পড়ে আছি ।
বদলে ফেলেছি শিথিল সপ্তাহ,
বদলে ফেলেছি রঙিন উচ্ছাস ।
তোমাকে দেখার কোন পরিকল্পনা নেই,
তবু ফিতে ছিড়ে বেরিয়ে পরি অনিশ্চিত,
কোন রকমেই বাঁধতে পারি না তোমায় ।
একদিন গুছিয়ে বলতে পারলে,
আমরা হয়ত একই পুকুরে ভেসে উঠতাম ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৪
এই সমস্ত রাস্তা কিছু খারাপ কবিতার
দিকে ঠেলে দেয় ।
গভীর থেকে উঠে আসে ধ্বংসস্তূপ,
কিছুই লুকোতে পারিনা ।
তুমিও দেখে ফেলো আমার ভেতরের
কম্পন ।
তুমি ভেঙেছ আমায় যত্ন করে,
জোড়ার প্রয়োজন বোধ কর নি ।
শুধু বৃষ্টি নামিয়েছ নানান অছিলায় ।
আমার সিগারেট বিহীন ওঠা নামা
সিঁড়ি থেকে তোমার ঘর,
তোমারই চোখে পড়লো না ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৫
যে জেগে থাকায়, মৃত্যু মনে পড়ে,
তাকে আমি ঘুম বলে ভেবে নিই ।
আর ঘুমের মধ্যে পাক খায়
খরস্রোতা নদী ।
একটা সিগারেট বিহীন রাত
ধরা পড়ে,
শরীরের আনাচে কানাচে ।
কোথাও আর যাওয়া যায় না,
পা জড়িয়ে যায় নির্ভরতায় ।
যাকে খুব করে চেয়েছিলাম একদিন,
সেই এখন ফিল্টার পোড়ায় ।


সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৬
আমাদের সেতু অকেজো হাওয়ার মতো দোলে ।
আমরা মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুলতে থাকি,
আর ভুলতে থাকি আমাদের
অলস প্রেমের দিনগুলো ।
সারা শরীরে জেগে ওঠে পোশাকই রাতের ছদ্মনাম,
জারি হয় একশো আটচল্লিশ ধারা ।
এত বিকল্প তবু ফেরার পথ নেই,
শুধু অবাধ নিকোটিনের বিচরণ...
মস্তিষ্কে স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ ক্রমশ ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৭
এই শহুরে হাত মোজার ভেতর,
একটা ঝাপসা আলোর রূপকথা ।
সন্ধ্যে গুলো পুড়ে যেত একে অন্যের
ফুসফসে ।
আমরা কাউন্টারে চালাচালি
করতাম জটিল হৃদরোগ বা
ক্যান্সার ।
সমস্ত রাত আমরা এভাবেই বিপদকে
গোগ্রাশে গিলতাম ।
আমরা শেওলাতেই দৌড়ে যেতাম
অনর্গল,
এক মুহূর্তও হরকাইনি কোনদিন ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৮
আমি তখনও গুনছি,
কিভাবে সামলানো যায় যুদ্ধের
শেষ অভিযান ।
আমাকে বাঁধতে পারেনি তুফান,
নিস্তেজ বরফ আঙ্গুলগুলো ।
নিজের লজ্জায় নিজেকে ঢেলেছি
প্রতিটা রাতে, সিগারেট ছাড়াই ।
এই পাল্টা আঘাতের মরশুমে,
গড়িয়ে কোন তল খুঁজিনি কখনও ।
এই আমি আর সেই আমিতে নেই,
পাল্টাতে পাল্টাতে কিভাবে যেন
হিমালয় হয়ে গেছি ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ৯
যখনই বৃষ্টি নামে রাতগুলো এলোমেলো
হয়ে যায় ।
আমি দূরত্ব মাপি আমার পুরনো প্রেমের সাথে ।
এই শব্দ ক্ষয়ের নিষ্কৃতি নেই,
কেবল জড়িয়ে যাওয়া ক্ষেত্রফলে ।
আলো হয়ে সাড়া দেয় গচ্ছিত প্রেমিকারা,
যেন মৃত চাঁদের স্মরণ সভা ।
তাদের দুর্বল যোগাযোগ থেকে আমি
ভারসাম্য খুঁজে নিতে পারিনি,
তবুও সংক্ষেপে ভেঙেছি আয়না আড়ালে ।
আমার ঘর ভরে যায় বৃষ্টির ফোঁটায় ।
সিগারেট বিহীন রাতগুলোতে পরপর
দু-তিন দিন বৃষ্টি নামলে,
আমি মরে যাব একশ শতাংশ ।

সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত - ১০
তোমাকে চেয়েছি ভীষণ করে,
তাই হয়ত এক আলোকবর্ষ দূরে
আমরা পাহারা দিচ্ছি, মৃত শরীর দুটো ।
নিয়মিত পোস্টমর্টেম চলছে,
আমাদের ভাবনা চিন্তার হরফে ।
এ শহরতলীর সমস্ত আয়োজন,
আমাদের আলাদা করে দেয় ।
গুঁড়োগুঁড়ো বাস্তব থেকে ধাক্কা মারে,
যাবতীয় প্রেমের অ্যালগরিদম ।
আমরা পা ছড়িয়ে বসি, শিরা উপশিরা
কেটে নিয়ে আসি নতুন প্রজন্ম ।
এসব ক্ষীণ ভাবনার প্রয়াসে,
আমাকে বারবার আলাদা করে দেয়,
সিগারেট বিহীন সমস্ত রাত ।
তোমাকে একবার না,
সারাজীবন দেখব বলে,
ষোলো তলা থেকে ঝাঁপ মারি,
উড়ে যেতে তোমার মাটিতে ।

Friday, 13 March 2020

রিভোলিউসন


রিভোলিউসন

একটু হাত রাখতে দাও তোমার চেতনার বাইরে ।
যেদিকে ধ্স নামে অল্প বৃষ্টি হলেই আর
তুমি পা ফেলতেই খেলে যায় মুখচোরা প্রশ্নগুলো ।
সেই ফিরে যাওয়া,
তোমার বিবর্তন দেখব বলে গোটা রাত ঘুমোতে পারিনি ।
এই অসীমে শুধুই পাঁচিল,
শুধুই বিভেদ,
তাও সব একাকার হয়ে যায় একটু উঁচু করে দেখলে ।
তুমিই গর্ব হয়ে ফোটো,
সবাই বলে, তাই তোমাকেই স্মরণ করি বিপদে-আপদে ।
চোখ বুজে যায় তবু ঘুম আসে না
এই সব চিন্তার সড়ক ।
আমাকে মানায় না এই খাপে যেখানে বিনোদন, রক্ত সব এক ।
তাও হাজির হই যতটা পারা যায়,
মৃত্যু উপেক্ষা করে ।
এইরকম ভাবতে ভাবতে…
আমিও বুঝেছি, কিচ্ছু পারোনা তুমি,
আজীবন বাল ছিড়ে গেছ নৈতিক কথার আড়ালে ।
সবাই বোকার মতো তোমায় বাহবা দিচ্ছে,
আমি একা কোন রিভোলিউসন আনতে পারিনা ।

Tuesday, 10 March 2020

লেখালিখির সাতকাহন

লেখালিখির সাতকাহন

কুর্নিশ তোমায়,
আমার জাতীয় শব্দের প্রতিফলন ।
যেন প্রতিটা সন্ধ্যা,
তুমি আমি ক্লান্ত হ্যালোজেন,
গুঁড়িয়ে যাই সতেজ হওয়ার নেশায় ।
আর বিপক্ষে অজস্র চিন্তিত তারিখ,
পথ আটকায় ।
মাঝে মধ্যেই ভাবি,
এই অবচেতনায় তোমায় লুকিয়ে রাখব ।
কাউকে জানতে দেব না তোমার গুরুত্ব ।
তুমিও পা রাখলে নাম না জানা তারার গায়ে,
এক অপরিচিত পর্যায়ে ।
তোমাকে ছাড়া কিছুতেই যেন এগোনো যায় না ।
অজস্রতার ভিড়ে তুমিও আমাকে বেছে নিলে ।
তোমাকে জানলায় পেলাম,
তোমাকে ফাঁকা বিকেলে পেলাম ।
এত শিকড় জড়ানো অধ্যায়ে,
তুমিই এক নবজাগরণ ।
তুমি, আমার চোরাস্রোতের ভাবনা,
বিকল হওয়া ফুসফুসের,
রোজকার অপ্রকাশিত লেখন ।

Friday, 31 January 2020

মনখারাপের রিংটোন



মনখারাপের রিংটোন

 

কথায় কথায় ভিজিয়ে নিই সন্ধে,
তরল গ্লাসে হলুদ ছড়ায় দেহ…
চিহ্ন রাখা শহরতলীর মধ্যে,
আমরা খাচ্ছি একে অন্যের মস্তিস্ক ।

আড়াল করছি ভাগের সবটুকু,
শীতের আগেই বাস্প হচ্ছে উত্তাপ ।
লেখার দাগে গুছিয়ে নেওয়া প্রেমটাও,
বিক্রি করে সস্তা দামে গোলাপ ।

আঘাত করে তাই, সময় মতো রোজই ।
ধারালো চোখে ছন্দ হারায় উঠোন । ।
সবের মধ্যে ভীষণ জোরে বাজছে,
মনের মতো মনখারাপের রিংটোন । ।