ভালোবাসার জেসচার
--- তিন কাপ কফি, আমার, তোমার
আর আমাদের ভালোবাসার
শুরুয়াত
কেনো অর্ধেক লাগে তোমায় ছাড়া...
যেন পড়ন্ত রোদ বিকেল নামছে,
একা ট্রাম লাইন হেঁটে যাওয়া ।
তুমি আছো, তাই ছুঁয়ে আছি আঙ্গুল,
ভাবনার ডাইমেনশনে আমাদের
ইমেজ ।
তোমার চুল গতিবেগে ছড়িয়ে,
গড়িয়ে আসছে গালে,
একটা ছবি সেপিয়া স্কেলে,
আমাদের প্রেমের শুরু ।
একটা সফল প্রেমের শুরু ।
অভ্যাস
লেখাই ছিল লেখার মধ্যের অভ্যেস ।
তুমি আছ প্রতিটা শব্দে,
সাবধানী পা ফেলো,
আরেকটা নরম কথোপকথন ।
সময় ছোটে একটু বেশিই, তাই
পরিণত প্রেমের প্যাটার্ন ...
এনে দেয় তোমাকে, শুদ্ধু তোমাকে ।
একটা জলছাপ উঠে আসে,
ভিজে যায় আয়ু,
তোমায় দেখার অভ্যেস,
একবার থেকে আরেকবার,
যেন অন্তহীন লুপ হোলে আটকে ।
চিঠি
নিজেকে নিয়ে দশবার ভাবলে,
এগারো বারের বার শূন্য হতে মন চায় ।
তোমার সামনে সমস্ত বারণগুলোকে
গলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে ।
ভাবি তোমাকে বলব কতটা অচল আমি,
তোমায় ছাড়া ।
একটা চিঠির মধ্যে শব্দ এনে বসাই,
তোমায় দেব বলে ।
সে অনেক প্রেমের শব্দ,
যেমন দামী তেমনি দুরন্ত ।
তাই জড়ো করে আনি ফস্কে যায় জোর ।
রোজ ভেবে ভেবেও তোমাকে দিতে পারিনি,
তোমায় লেখা-না লেখা চিঠিগুলো ।
শীতের শহর
কেন শীতের কথা বলো?
আমার কাজ তোমাকে নিয়ে আসা,
গাঢ় সবুজ ধান ক্ষেত থেকে ।
যেন লেগে আছে অনেক দিনের
রোদ্দুর তোমার গালে ।
আমার কাজ তোমাকে দেখা,
দেখতে দেখতে অন্ধ হয়ে যাওয়া ।
তুমি পথ দেখিও তারপর ।
তুমিই আমার অবলম্বন,
আমার ভালোবাসার পাহাড় ।
মেমোরি কার্ড
কিছু সুখের বিরতি খুঁজে নিও,
যেমন মেঘের ভেতর মেঘ,
তার ভেতর মায়া ।
আমায় পেলে, আর কাকেই বা তুমি চাও
দুঃখ সুখের ব্যস্ত মেমোরি লেনে ।
আমরা ছিলাম জ্বলন্ত সিগারেটে,
ছাই উড়িয়ে, ঠোঁট বসেছে অস্থির ।
ঘুমের ভেতর নরম হয়ে গেছে...
তোমার শরীর কেটে বেরোচ্ছি,
চারিদিকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা নদী আর
নরম ধান ক্ষেত ।
যেখানে আমি ফেলে আসি দামি
কিছুটা সময় ।
তোমার চোখ, তোমার হাসি,
তোমার চিবুক তোমার ভ্রুকুটি
যেন অন্তহীন লেগে আছে স্মৃতির আয়নাতে ।
তুমি কি শুনতে পাও, বুকে মাথা রাখ যখন,
কি উৎসবে মেতেছে শরীর ।
আমি দুর্বল, উঠতে পারিনা কিছুতেই,
তোমায় আগলাতেই ফিরে ফিরে আসা ।